আমি খানিকটা ভাবনায় ছিলাম এই লেখার পেছনে সূত্র নিয়ে। এর রেশ ধরে দেখা শুরু করলাম, 'কান পেতে রই'। একটি তথ্যচিত্রের মধ্যে যে মুনশিয়ানার ছাপ থাকা প্রয়োজন তার কোন অভাব এর মধ্যে ছিল না- অসাধারণ এক তথ্যচিত্র!
'কান পেতে রই' তথ্যচিত্রটা না-দেখলেই ভাল করতাম কারণ আমার বড়ো কষ্ট হচ্ছিল। কষ্ট হচ্ছিল এই কারণে আমরা যে কত বড়ো অসভ্য, বর্বর এটা নতুন করে জেনে। মানুষখেকো আফ্রিকান কোন এক উপজাতি যখন কাটা মুন্ডু নিয়ে উল্লাস করে তখন আমাদের চোখে সহ্য হয় না। ফালতু, এই সব কোন ছার! আমাদের নিজের কান্ড দেখে আমাদের নিজেরই সহ্য হয় না!
এক লেখায় আমি লিখেছিলাম, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের আবেগকে আমরা এখন একটা পণ্যে পরিণত করেছি [২]। মুক্তিযোদ্ধাদের খিচুড়ি খাওয়াটাও আমাদের চোখে একটা পণ্য [৩]। ক-দিন পর আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের কি কি নিয়ে ব্যবসা করব এরও একটা চোথা করা আবশ্যক। এ দেশ থেকে মুক্তিযোদ্ধারা ক্রমশ বিলীন হয়ে যাচ্ছেন; ব্যবসা করার জন্য আর কিছু না-পেলে মুক্তিযোদ্ধাদের হাড়গোড় নিয়ে কোন-না-কোন একটা ব্যবসা করা যাবে নিশ্চিত!
মুক্তিযুদ্ধের অবদানের বিষয়ে গুটিকয়েক মানুষের গল্প বলাই আমাদের শেষ হয় না অন্যদের কথা বলার সময় কোথায় আমাদের। বেইবী, কীসব গল্প! কেউ কেউ তো দেশ স্বাধীন করার কাজে এতো ব্যস্ত থাকতেন ডায়াপার বদলাবার সময়ও পেতেন না!
এই দেশে এন্তার ন্যাতাদের ভিড়ে হারিয়ে যান মশিহুর রহমানের মত মানুষ [৪]। আমাদের সময় কোথায় মশিহুর রহমানদের মত মানুষদের খোঁজ রাখার? মজিবর রহমান দেবদাসের মত মানুষদের বেলায়ও এর ব্যত্যয় হবে কেন!
ঋণ: তথ্যচিত্র, "কান পেতে রই" |
ছবি ঋণ: "কান পেতে রই" |
ছবি ঋণ: "কান পেতে রই" |
ছবি ঋণ: "কান পেতে রই" |
ছবি ঋণ: "কান পেতে রই" |
ছবি ঋণ: "কান পেতে রই" |
ছবি ঋণ: "কান পেতে রই" |
আমরা জীবিত মানুষদের সম্মান দেয়া শিখিনি, অপেক্ষায় থাকি তাঁদের মৃত্যুর! একজন মজিবর রহমান হেঁটে হেঁটে চলে যান। আমরা তাঁর চলে যাওয়া দেখি এবং অপেক্ষা করি...
ছবি ঋণ: "কান পেতে রই" |
সহায়ক সূত্র:
১. একজন আউটসাইডার...: http://www.ali-mahmed.com/2011/05/blog-post_26.html
২. মুক্তিযুদ্ধের আবেগ...পণ্য: http://www.ali-mahmed.com/2009/10/blog-post_07.html
৩. মুক্তিযোদ্ধাদের খিচুড়ি: http://www.ali-mahmed.com/2010/12/blog-post_21.html
৪. মশিহুর রহমান: http://www.ali-mahmed.com/2009/10/blog-post_06.html
1 comment:
Thanks man!
Post a Comment