এর মধ্যে একজন দিলেন আবার আরেক পোকা মাথায় ঢুকিয়ে, বাচ্চাদের সঙ্গে তাদের অভিভাবকদেরও নিয়ে আসার জন্য। এই প্রস্তাবটা আমার মনে ধরল। এটা একটা চমৎকার কাজ হবে কারণ আমি নিশ্চিত এই বাচ্চারা যেমন এমন অনুষ্ঠানে পূর্বে কখনও যায়নি তেমনি এদের অভিভাবকরাও।
সকাল ১০টায় যথা সময়ে শুরু হয়ে গেল অনুষ্ঠান। ঠিক সময়ে চলে এসেছেন প্রধান অতিথি নৌ কমান্ডো ফজলুল হক ভূঁইয়া [৩]। আমি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই এই কারণে তিনি অন্য আমন্ত্রণ ফেলে এখানে চলে এসেছেন, এই অনুষ্ঠানে।
এবারও আঁকার বিষয় ছিল বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের সমাধিস্তম্ভের ছবিটা। আমি বারবার এটা বলে যেটা এদের মাথায় ঢুকিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছি সেটা হচ্ছে, সাতজন বীরশ্রেষ্ঠর একজন এখানে। এরা যেন গর্বের সঙ্গে এটা বলতে পারে। আজ যোগ দিয়েছে এদের সঙ্গে এদের কিছু অভিভাবক। অবশ্য অভিভাবকের উপস্থিতি বাচ্চাদের তুলনায় অনেক কম। এতে আমি খুব একটা অবাক হইনি কারণ এই সব খেটে খাওয়া মানুষদের কাছে অনেক কিছুই অর্থহীন মনে হয়।

হা হা হা, বাচ্চাদের বিভিন্ন পুরস্কারের পাশাপাশি
অভিবাবকদের জন্যও বেশ কিছু উপহার ছিল, তাছাড়া বাচ্চাদের পাশাপাশি অভিভাবকদের উল্লাসেরও কমতি ছিল না। অনুষ্ঠানে দেখলাম এরা বাচ্চাদের চেয়ে কম উপভোগ করেননি। বুকে হাত দিয়ে বলি, সবচেয়ে বেশি উপভোগ করেছি আমি নিজে।
যাই হোক, পরবর্তীতে এটা আশা করতে দোষ কি অভিভাবকদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়বে...।
সহায়ক সূত্র:
১. মুক্ত দিবস...: http://www.ali-mahmed.com/2010/12/blog-post_06.html
২. আমাদের ইশকুল...: http://www.ali-mahmed.com/2010/10/blog-post_07.html
৩. নৌ কমান্ডো...: http://www.ali-mahmed.com/2009/04/blog-post_22.html
No comments:
Post a Comment