Search This Blog

Wednesday 6 March 2013

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পত্রিকা 'প্রতিরোধ'

"ফরহাদ মযহার, বেচারা, এখন লম্বা লম্বা বুলি ছাড়ে কিন্তু ঐদিন টাকাগুলো কোথায় কিভাবে হাওয়া করে দিয়েছিল, সে হিসাব আমাকে এখনো দেয় নি।" বলেছিলেন আহমদ ছফা

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পত্রিকা 'প্রতিরোধ'। যার প্রকাশক, সম্পাদক, প্রচারক ছিলেন আহমদ ছফা। এই পত্রিকা থেকে যে লাভ হয়েছিল, তৎকালীন ১০ হাজার টাকা মেরে দিয়েছিলেন ফরহাদ মযহার, এই অভিযোগ করেছিলেন আহমদ ছফা।

আহমদ ছফার জবানীতে আমরা শুনি:
"...স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পত্রিকার নাম হচ্ছে 'প্রতিরোধ'। শেখ সাহেবের রেসকোর্স মিটিং-এ (৭ই মার্চ) বিক্রির জন্য আমরা কয়েকজন পত্রিকাটি বের করেছিলাম। টেবল্যয়েড সাইজ। হুমায়ূন কবির, কক্সবাজারের নুরুল হুদা, ফরহাদ মযহার, রফিক কায়সার প্রমুখ কবিদের কবিতা ছাপা হয়েছিল। ছাপা হতে শুরু করে টাকা যোগাড়ের সমস্ত কাজই আমাকে করতে হয়েছিল।
 

...পত্রিকার একটি কপি আহমদ শরীফের হাতে দিয়েছিলাম। পাওয়ামাত্র চোখ বুলিয়ে তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরেছিলেন। আমিও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলাম সেদিন...।
আমাকে জড়িয়ে ধরে ড. শরীফ বলেছিলেন, 'ছফা, আমার মনে হচ্ছে, আমি পাকিস্তানে নয়, বাংলাদেশে আছি। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে গেছে'।...
ড. শরীফ পত্রিকার বিনিময়ে তার পকেটে যত টাকা ছিল সব আমার হাতে তুলে দিয়েছিলেন। গুণে দেখলাম, ৯৮ টাকা। সেই সময়ের ৯৮ টাকা, বিশ্বাস হয়!
 

...পত্রিকাটি বিক্রি হয়েছিল অবিশ্বাস্য!"
(আহমদ ছফার চোখে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী)

Sunday 24 February 2013

গোলাম আযম: মামলা, কোরআন অবমাননার অভিযোগ

জামাতে ইসলামির আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে ১৯৯৪ সালে রংপুরে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। মামলাটি করেছিলেন রংপুরের একজন সাংবাদিক। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছিল, "গোলাম আযম তার রচিত বই 'আদম সৃষ্টির হাকিকত'-এর ২৮ পৃষ্ঠায় বলেছেন, 'সুরা আল বাকারার প্রথম চারটি রুকু গোটা কোরআনের শুরুতে দেওয়া খুব জরুরি ছিল'।...

তিনি আরও বলেছেন, 'সুরা আল বাকারার ৪র্থ রুকুটির প্রচলিত ভুল ব্যাখ্যার কারণে মুসলমানদের মধ্যে ইসলাম একটি অনুষ্ঠানসর্বস্ব ধর্ম হিসাবে পরিচিত হয়েছে'।
ওই পুস্তকের ২৬ পৃষ্ঠায় এক জায়গায় গোলাম আযম আরো বলেছেন, 'এ রুকুর ভুল ব্যাখ্যা ইসলামকে বিকৃত করেছে'।"
(ভোরের কাগজ, ৮/৮/১৯৯৪)

Wednesday 18 January 2012

একজন ভাগীরথী এবং অজ্ঞাতনামা রাজাকার

"অষ্টাদশী ভাগীরথী ছিল বরিশাল জেলার পিরোজপুর থানার বাঘমারা কদমতলীর এক বিধবা পল্লীবালা। বিয়ের এক বছর পর একটি পুত্র সন্তান কোলে নিয়েই তাকে বরণ করে নিতে হয় সুকঠিন বৈধব্য। স্বামীর বিয়োগ ব্যথা তার তখনও কাটেনি। এরই মধ্যে দেশে নেমে এল ইয়াহিয়ার ঝটিকা বাহিনী। গত মে মাসের এক বিকালে ওরা চড়াও হলো ভাগীরথীদের গ্রামে। হত্যা করলো অনেককে যাকে যেখানে যেভাবে পেলো।

এ নির্বিচার হত্যাযজ্ঞের মধ্যে ভাগীরথীকে ওরা মারতে পারলো না। ওর দেহলাবণ্য দস্যুদের মনে যে লালসা জাগিয়েছিল তাতেই হার মানল তাদের রক্ত পিপাসা। ওকে ট্রাকে তুলে নিয়ে এল পিরোজপুরে। তারপর ক্যাম্পে তার উপর চালানো হলো হিংস্র পাশবিক অত্যাচার।

সতী নারী ভাগীরথী। এ পরিস্থিতিতে মৃত্যুকে তিনি একমাত্র পরিত্রাণের উপায় বলে ভাবতে লাগলেন। ভাবতে ভাবতেই এক সময় এল নতুন চিন্তা- হ্যাঁ মৃত্যুই যদি বরণ করতে হয় ওদেরই বা রেহাই দেব কেন? ভাগীরথী কৌশলের আশ্রয় নিল এবার।
এখন আর অবাধ্য মেয়ে নয় দস্তরমত খানদের খুশী করতে শুরু করল, ওদের আস্থা অর্জনের আপ্রাণ চেষ্টা চালাতে লাগলো। বেশীদিন লাগলো না, অল্প কদিনেই নারী লোলুপ ইয়াহিয়া বাহিনী ওর প্রতি দারুণ আকর্ষণ অনুভব করল। আর এই সুযোগে ভাগীরথী ওদের কাছে থেকে জেনে নিতে শুরু করল পাক বাহিনীর সব গোপন তথ্য। এক পর্যায়ে বিশ্বাস ভাজন ভাগীরথীকে ওরা নিজের ঘরেও যেতে দিল। আর কোন বাঁধা নেই। ভাগীরথী এখন নিয়মিত সামরিক ক্যাম্পে যায় আবার ফিরে আসে নিজ গ্রামে।


এরই মধ্যে চতুরা ভাগীরথী তাঁর মূল লক্ষ্য অর্জনের পথেও এগিয়ে গেল অনেকখানি। গোপনে মুক্তি বাহিনীর সাথে গড়ে তুলল ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ। এরপরই এল আসল সুযোগ। জুন মাসের একদিন ভাগীরথী খান সেনাদের নিমন্ত্রণ করলো তাঁর নিজ গ্রামে।
এদিকে মুক্তি বাহিনীকেও তৈরী রাখা হলো যথারীতি। ৪৫ জন খান সেনা হাসতে হাসতে বাগমার কদমতলা (ভাগীরথীর) নিমন্ত্রণ খেতে এসেছিল কিন্তু তার মধ্যে ৪/৫ জন ক্যাম্পে ফিরতে পেরেছে বুলেটের ক্ষত নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে। বাকিরা ভাগীরথীর গ্রামেই শিয়াল কুকুরের খোরাক হয়েছে।


এরপর আর ভাগীরথী ওদের ক্যাম্পে যায়নি। ওরাও বুঝেছে, এটা তারই কীর্তি। পাক আর্মিরা তাই হুকুম দিল জীবিত অথবা মৃত ভাগীরথীকে যে ধরিয়ে দিতে পারবে তাকে নগত এক হাজার টাকা পুরস্কার দেয়া হবে। কিন্ত ভাগীরথী তখনও জানতো না ওর জন্য আরও দুঃসহ ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। একদিন রাজাকারদের হাতে ধরা পড়লো ভাগীরথী। তাকে নিয়ে এল পিরোজপুর সামরিক ক্যাম্পে।

খান সেনারা এবার ভাগীরথীর উপর তাদের হিংস্রতার পরীক্ষার আয়োজন করলো। এক হাটবারে তাকে শহরের রাস্তায় এনে দাঁড় করানো হলো জনবহুল চৌমাথায়। সেখানে প্রকাশ্যে তার অঙ্গাবরণ খুলে ফেলল কয়েকজন খান সেনা। তারপর দু’গাছি দড়ি ওর দু’পায়ে বেঁধে একটি জীপে বেঁধে জ্যান্ত শহরের রাস্তায় টেনে বেড়াল ওরা মহাউৎসবে।

ঘন্টাখানেক রাজপথ পরিক্রমার পর আবার যখন ফিরে এল সেই চৌমাথায় তখনও ওর দেহে প্রাণের স্পন্দন রয়েছে। এবার তারা দুটি পা দুটি জীপের সাথে বেঁধে নিল এবং জীপ দুটিকে চালিয়ে দিল বিপরীত দিকে। ভাগীরথী দুভাগ হয়ে গেল।

সেই দুভাগে দু'জীপে আবার শহর পরিক্রমা শেষ করে জল্লাদ খানরা আবার ফিরে এল সেই চৌমাথায় এবং এখানেই ফেলে রেখে গেল ওর বিকৃত মাংসগুলো। একদিন দু’দিন করে সে মাংসগুলো ঐ রাস্তার মাটির সাথেই একাকার হয়ে গেল এক সময়। বাংলামায়ের ভাগীরথী এমনি ভাবে আবার মিশে গেল বাংলার ধুলিকণার সাথে…।"
সূত্র: বর্বরতার রেকর্ড, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, অষ্টম খন্ড (ভাষারীতি অবিকল রাখা হয়েছে)।

আমাদের দেশে ভাগিরথীদের মত মানুষদের আত্মত্যাগের কথা জানতে আমরা খুব একটা আগ্রহ বোধ করি না, মিডিয়াও না। এই দেশে স্বাধীন করে ফেলেছেন এমন গুটিকয়েক নাম বলে বলে সময় কোথায় আমাদের!
ভাগীরথীর সম্বন্ধে আমি জানতে পারি সম্ভবত ২০০৫ সালে। ২০০৬ সালে এই লেখাটা যখন আমি আমার d"ফ্রিডম" বইয়ে উল্লেখ করেছিলাম তখন আমার বিপুল তথ্যের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু বিশেষ তথ্য হাতে ছিল না। এখনকার মত কয়েক বছর পূর্বেও ব্লগস্ফিয়ারে মুক্তিযুদ্ধসংক্রান্ত তেমন উল্লেখ করার মত তথ্য ছিল না।
এই এক অভাগা দেশ, এখানে মুক্তিযুদ্ধসংক্রান্ত বইপত্রের দাম সুলভে থাকাটা যুক্তিযুক্ত অথচ একেকটা বইয়ের দাম আগুনসম।

আমার মনে আছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের এবং অন্যান্য মুক্তিযুদ্ধসংক্রান্ত বইপত্রের প্রায় পনেরো হাজার ফটোকপি করেছিলাম। উপায় ছিল না। নৈতিকতা-অনৈতকতা নিয়ে মাথা ঘামাবার সময় তখন আমার ছিল না। আগেই উল্লেখ করেছি, ব্লগস্ফিয়ারে তখন তেমন কোনো তথ্যই ছিল না, অন্তত বাংলা ভাষায়।
তো, গতকাল আমার মাথায় বিষয়টা আসে, ভাগিরথীকে রাজাকাররা ধরিয়ে দিয়েছিল, বেশ। কিন্তু আমরা কোথাও এই রাজাকারের নাম জানতে পাই না। কারণ আছে, তখন মুক্তিযুদ্ধের পর সঠিক ইতিহাসের কাজ শুরু হয়েছিল বটে কিন্তু পরে আর এগুতে পারেনি! তাছাড়া ওই সময় হয়তো এই রাজাকারদের নাম নিয়ে আসার বিষয়ে কেউ তেমন করে ভাবেননি।
এমন কি আমি নির্বোধের মাথায়ও কখনও আসেনি ভাগিরথীকে যারা ধরিয়ে দিয়েছিল, ওই রাজাকার কে-কারা ছিল। এই নিয়ে এখন নিজের প্রতিও আমার ক্ষোভ আছে। কেন বিষয়টা পূর্বে আমি লক্ষ করলাম না!

ভাগিরথীর ঘটনাটা পিরোজপুরে। যুদ্ধের সময় পিরোজপুরেই ছিলেন অতি সজ্জন (!) এক ব্যক্তি যিনি রাজাকারের সর্দার হিসাবে যথেষ্ঠ কুখ্যাত ছিলেন। আমরা সবাই জানি (কেবল আসিফ নজরুল ব্যতীত) তিনি হচ্ছেন, আমাদের মহান মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী।
মুক্তিযুদ্ধের সময় এহেন কোনো অপকর্ম নাই যা তিনি করেননি। ভাগিরথীকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য ১০০০ (তৎকালীন হিসাবে বিপুল টাকা) টাকা পুরষ্কার ঘোষণা করা হবে আর মাওলানা সাহেব ঝিম মেরে বসে থাকবেন এ আমার বিশ্বাস হয় না। যে সাঈদী মানুষের ঘরের টিনটা পর্যন্ত খুলে নিয়ে গেছে।

আমি আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় আছি, কোনো এক সূত্রের কল্যাণে বের হয়ে আসবে সেই অজ্ঞাতনামা রাজাকারের নাম...।   

Thursday 2 June 2011

মজিবর রহমানদের চলে যাওয়ার অপেক্ষায়

Gulzar Hossain Ujjal, চমৎকার একটি লেখা লিখেছিলেন, 'একজন আউটসাইডার, মজিবর রহমান দেবদাস [১]'।
আমি খানিকটা ভাবনায় ছিলাম এই লেখার পেছনে সূত্র নিয়ে। এর রেশ ধরে দেখা শুরু করলাম, 'কান পেতে রই'। একটি তথ্যচিত্রের মধ্যে যে মুনশিয়ানার ছাপ থাকা প্রয়োজন তার কোন অভাব এর মধ্যে ছিল না- অসাধারণ এক তথ্যচিত্র!
'কান পেতে রই' তথ্যচিত্রটা না-দেখলেই ভাল করতাম কারণ আমার বড়ো কষ্ট হচ্ছিল। কষ্ট হচ্ছিল এই কারণে আমরা যে কত বড়ো অসভ্য, বর্বর এটা নতুন করে জেনে। মানুষখেকো আফ্রিকান কোন এক উপজাতি যখন কাটা মুন্ডু নিয়ে উল্লাস করে তখন আমাদের চোখে সহ্য হয় না। ফালতু, এই সব কোন ছার! আমাদের নিজের কান্ড দেখে আমাদের নিজেরই সহ্য হয় না!

এক লেখায় আমি লিখেছিলাম, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের আবেগকে আমরা এখন একটা পণ্যে পরিণত করেছি [২]। মুক্তিযোদ্ধাদের খিচুড়ি খাওয়াটাও আমাদের চোখে একটা পণ্য [৩]। ক-দিন পর আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের কি কি নিয়ে ব্যবসা করব এরও একটা চোথা করা আবশ্যক। এ দেশ থেকে মুক্তিযোদ্ধারা ক্রমশ বিলীন হয়ে যাচ্ছেন; ব্যবসা করার জন্য আর কিছু না-পেলে মুক্তিযোদ্ধাদের হাড়গোড় নিয়ে কোন-না-কোন একটা ব্যবসা করা যাবে নিশ্চিত!

মুক্তিযুদ্ধের অবদানের বিষয়ে গুটিকয়েক মানুষের গল্প বলাই আমাদের শেষ হয় না অন্যদের কথা বলার সময় কোথায় আমাদের। বেইবী, কীসব গল্প! কেউ কেউ তো দেশ স্বাধীন করার কাজে এতো ব্যস্ত থাকতেন ডায়াপার বদলাবার সময়ও পেতেন না!
এই দেশে এন্তার ন্যাতাদের ভিড়ে হারিয়ে যান মশিহুর রহমানের মত মানুষ [৪]। আমাদের সময় কোথায় মশিহুর রহমানদের মত মানুষদের খোঁজ রাখার? মজিবর রহমান দেবদাসের মত মানুষদের বেলায়ও এর ব্যত্যয় হবে কেন!
ঋণ: তথ্যচিত্র, "কান পেতে রই"
ছবি ঋণ: "কান পেতে রই"


মজিবর রহমানের লেখা চিঠি


ছবি ঋণ: "কান পেতে রই"
তাঁর লেখা সেই বিখ্যাত চিঠি!

ছবি ঋণ: "কান পেতে রই"
তাঁর মুক্তির ছাড়পত্র।

ছবি ঋণ: "কান পেতে রই"
আইনের মাধ্যমে মজিবর রহমানের নাম পরিবর্তন।

ছবি ঋণ: "কান পেতে রই"
 বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মজিবর রহমানের পদত্যাগপত্র গ্রহণ!

ছবি ঋণ: "কান পেতে রই"
১৯৯৮ সালে জাদুঘরে মজিবর রহমানের স্বহস্তে লেখা মন্তব্য।

আমরা জীবিত মানুষদের সম্মান দেয়া শিখিনি, অপেক্ষায় থাকি তাঁদের মৃত্যুর! একজন মজিবর রহমান হেঁটে হেঁটে চলে যান। আমরা তাঁর চলে যাওয়া দেখি এবং অপেক্ষা করি...
ছবি ঋণ: "কান পেতে রই"

সহায়ক সূত্র:
১. একজন আউটসাইডার...: http://www.ali-mahmed.com/2011/05/blog-post_26.html
২. মুক্তিযুদ্ধের আবেগ...পণ্য: http://www.ali-mahmed.com/2009/10/blog-post_07.html
৩. মুক্তিযোদ্ধাদের খিচুড়ি: http://www.ali-mahmed.com/2010/12/blog-post_21.html
৪. মশিহুর রহমান: http://www.ali-mahmed.com/2009/10/blog-post_06.html