Search This Blog

Thursday 28 June 2007

একমাত্র আদিবাসি বীর বিক্রম, উক্য চিং

একমাত্র আদিবাসি উক্য চিং বীর বিক্রম। তিন পার্বত্য জেলার একমাত্র আদিবাসি বীর বিক্রম। তিনি বাংলাদেশের ১৭৫ জন বীর বিক্রমের একজন।

’৭১ এর ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত যার হাতে এলএমজি, গ্রেনেড, মর্টার গর্জে উঠেছে বারবার। মাতৃভূমিকে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে স্বাধীন করতে মরণপণ যুদ্ধে যিনি ১৩ জন সদস্য নিয়ে অংশগ্রহন করেছেন। দুঃসাহসী এ যোদ্ধার প্রতিটি অভিযান শত্রুসেনার ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছে। একের পর এক বর্বর পাকিস্তানি সেনারা লুটিয়ে পড়েছে মাটিতে।
বাঙালী নারীদের ওপর পাক সৈন্যদের বর্বর নির্যাতনের প্রতিবাদে যিনি পাক বাহিনীর ১ কমান্ডারসহ সাত সেনাকে ধরে পুরুষাঙ্গ কেটে হত্যা করে রাস্তায় শুইয়ে রেখেছিলেন, অথচ এই অগ্নিপুরুষকে
বিজয় দিবসে বান্দরবান টাউন হলে ১০০ টাকার প্রাইজ বন্ড দিয়ে সম্মানিত(!) করা হয়! 
অশ্রুসজল চোখে উক্য চিং বীর বিক্রম প্রশ্ন রাখেন সাপ্তাহিক ২০০০ এর কাছে, ‘কেন এই প্রাইজ বন্ড দিয়ে আমাদের লজ্জা দেয়া?’ 

উক্য চিং বীর বিক্রম বললেন, ‘দ্যাখেন, করাচি থেকে পূর্ব পাকিস্তানে এসে ‘৭১ সালে কেমন গোল খেয়ে গেল পাকিস্তানিরা! বলেই হা-হা- করে হেসে উঠলেন। কথা বলছেন আর বুকে ঝোলানো মেডেলগুলো ঝন ঝন করে উঠছে।

এডামুই পাইং সংঘ থেকে গত তিন বছর ধরে উক্য চিং এর নামে মেধা বৃত্তি চালু হয়েছে। প্রথম শ্রেণীর স্কুল-ছাত্র ‘অনীক’ জানে না কার নামে এ বৃত্তি, কেন এ বৃত্তি কী তার ভূমিকা?
অনীকের দোষ দিয়ে লাভ কী! আমরা স্বাধীনতার এতো বছর পরও বেমালুম ভুলে গেছি আরেকজন আদিবাসি-আদিনারি প্রিনছা খেঁ-র কথা। ভাগিরথীর কথা। কী অবলীলায় ভুলে যাই, লালু'র কথা।) ঠিক ১৬ ডিসেম্বরে মুক্তিযোদ্ধঅ সুরুয মিয়া আত্মহত্যা করলে এতে আমাদের কোন লাজ নাই! আসলে ভুলে যেতে হয় কারণ মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে একটা বিক্রয়যোগ্য পণ্য!


*একজন পত্রিকায় চিঠি লিখেছিলেন, উক্য চিং পাকসেনাদের পুরুষাঙ্গ কেটে হত্যা করে রাস্তায় শুইয়ে রেখেছিলেন এই বিষয় নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। তার দৃষ্টিতে এটা নৃশংসতা, জেনেভা কনভেনশন ইত্যাদি...। বটে! পাক আর্মিদের সীমাহীন নৃশংসতা কয়টা উদাহরণ দেব? কেবল এই একটাই কী যথেষ্ঠ না?

2 comments:

শাহেদ said...

শুভ ভাই,ওনার না কি উক্য চিং না ইউ কে চিং? কালের কন্ঠে পড়লাম ইউ কে চিং।

।আলী মাহমেদ। said...

এটা আমিও দেখেছি।

উক্য চিংকে নিয়ে দীর্ঘ একটা সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছিল সাপ্তাহিক ২০০০।
কালের কন্ঠের ইউ কে চিং এটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে কারণ যে পত্রিকা মুক্তিযুদ্ধের এই অসাধারণ ছবিকে সংগৃহিত বলে চালিয়ে দেয় তাদের উপর আস্থা রাখাটা কঠিন। লিংকটা দেখুন:
http://www.ali-mahmed.com/2010/03/blog-post_6688.html


ধন্যবাদ, আপনাকে। অন্যত্র এই সংক্রান্ত লেখা পেলে দয়া করে লিংক দেবেন।