Search This Blog

Friday 29 June 2007

ভার্চুয়াল বেবি!

কোথাও এটা আগেও বলেছিলাম। আমরা দুম করে বলে ফেলি কিসের ছাতাফাতা স্বাধীনতা! স্বাধীনতা কি এটা আমাদেরকে জানতে হবে কোন ইরাকী, কোন প্যালাস্টানীর কাছ থেকে! কেউ হয়তো বলবেন, এটা তো আর ইরাক না- ফাইন।

বেশ, এক দিনে তো আর একটা গাছ মহীরুহ হয়ে উঠে না! একটা গাছ বেড়ে উঠার পেছনে থাকে কতো দুঃসহ স্মৃতি- কতো ঝড়ঝাপটা! তেমনি একটা সৃষ্টির পেছনে সুনির্দিষ্ট সত্য থাকে- সত্যকে অস্বীকার করার মানে সৃষ্টিকে অস্বীকার করা। স্বাধীনতা আমাদের শেকড়- শেকড় কেটে ফেললে তো আর কিছুই থাকে না! স্বাধীনতা অস্বীকার করলে তো আর আমাদের অস্তিত্ব থাকে না।

আজ আমি বাংলায় লিখি- বাংলায় ব্লগিং করি এসবের পেছনে অসংখ্য সাহসী মানুষের সীমাহীন ত্যাগ আছে।
আমি স্পষ্ট করে বলি, স্বাধীনতার ব্যাপারটা তারা কখনোই বুঝবে না, যারা যুদ্ধে তাদের কোন প্রিয়মানুষকে হারায়নি! বা কখনোও, স্বাভাবিক জীবনেও কোন প্রিয়মানুষকে না হারিয়েছে- এই তীব্র বেদনা তাদের স্মৃতিতে নাই! প্রকৃতির শিশু এবং টেস্টটিউব বেবীর মধ্যে বিশাল ব্যবধান থাকবেই। ভার্চুয়াল বেবী কখনোই তার সৃষ্টির ইতিহাস জানতে আগ্রহবোধ করবে না- কারণ তার সাবকনশাস মাইন্ডে তার মার প্রসব বেদনার কোন স্মৃতি নাই!

আমরা যদি একটা মিনিট চোখ বন্ধ করে জাস্ট ভাবি- আমাদের জন্মের সময় আমাদের মার প্রসব বেদনার কথা! আধ জবাই কোন পশুকে আমরা কখনো কি খুব কাছ থেকে দেখেছি? কেউ দেখে থাকলে এই দুঃস্বপ্ন তাকে দিনের পর দিন তাড়া করে বেড়াবে! বাহ্যজ্ঞান লোপ পাওয়া- অপার্থিব, কষ্টের এই বেদনার কাছে নাকি মস্তিষ্ক হার মানে, এই স্মৃতি মস্তিষ্ক ধরে রাখতে চায় না!

জামাতে ইসলাম এবং ইসলামকে আমরা গুলিয়ে ফেলি। এই বিষয়টা আমরা স্পষ্ট করে দিচ্ছি না। অনেক অতি শিক্ষিত মানুষদের মধ্যেও আমি এই অস্পষ্টতা দেখেছি।

কিন্ত প্রকট সমস্যাটা দাঁড়ায় তখন, যখন অল্প বয়সের ছেলে-মেয়েরা ইচ্ছায় অনিচ্ছায় জড়িয়ে পড়ে এদের খপ্পরে। আমরা মোটেও চেষ্টা করছি না এদের চোখটা খুলে দিলে, ফিরিয়ে আনতে। বরঞ্চ অন্যায় ভাবে এদের প্রতি রূক্ষ আচরণ করে তুলছে এদের আরও দূর্বিনীত।
জামাত এদের মগজ ধোলাইয়ে যে সময় নিচ্ছে আমরা এর ১০০ ভাগের ১ ভাগও দিচ্ছি কিনা এতে আমার গভীর সন্দেহ আছে। আসলেই কি মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত সত্য তুলে ধরা হচ্ছে এদের কাছে। পাঠ্যবইয়ে গন্ডগোল, পাঠ্যবইয়ের বাইরের বইয়ের আকাশ ছোঁয়া দাম, ফাও তুচ্ছতাচ্ছিল্য।

এই অভাগাদের উপায় কী! অথচ এরা তো আমাদেরই সন্তান, আগামী প্রজন্ম।

No comments: